Search
Close this search box.

সিলেট বিভাগের ১৬ পৌরসভার নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

Facebook
Twitter
WhatsApp

5692নিউজ ডেস্ক :: প্রকৃতিতে শীতের কাঁপন শুরু হয়েছে। সেই কাঁপনে উত্তাপ ছড়াতে আসছে নির্বাচন। বছরের শেষ দিনের আগ মুহূর্তে হচ্ছে দেশের ২৩৪টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলার রয়েছে ১৬টি পৌরসভা। সিলেটের তিনটি, সুনামগঞ্জের চারটি, মৌলভীবাজারের চারটি ও হবিগঞ্জের পাঁচটি পৌরসভায় ওইদিন একযোগে ভোট গ্রহণ হবে।

মঙ্গলবার পৌরসভা নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সংসাদ সম্মেলনে তফসিল ঘোষণা করেন।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের তালিকায় রয়েছে, সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের ছাতক, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর, মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা।

স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন এতো বছর নির্দলীয়ভাবে হলেও এবারই প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচনের মত সংশোধিত বিধিতে দলীয় প্রতীক হতে যাচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন। আর সেটা শুরু হল পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে। বিধিমতে এবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধতি দলগুলো সরাসরি তাদের প্রতীকে মেয়রপ্রার্থী দিতে পারবে। দলীয় প্রার্থীদের জন্যে তাই আলাদা প্রতীক বরাদ্দের ঝামেলা পোহাতে হবে না। তবে, স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের জন্যে আগের নিয়মের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। মেয়রপ্রার্থীরা দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পেলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয়ভাবেই নির্বাচন করবেন। তাদেরকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে। ইসিতে নিবন্ধতি চল্লিশটি দলের মধ্যে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দল কাদের মনোনয়ন দেবে, সেই মনোনয়ক কমিটির নাম তফসিল ঘোষণার পাঁচদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নির্বাচনী বিধিতে। এছাড়া কোনো দল একাধিক প্রার্থী দিলে সবার প্রার্থীতা বাতিল এবং নির্বাচনী প্রচারে সরকারি সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত ‘অতি গুরুত্বপূর্ণদের’ অংশগ্রণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন গ্রহণের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর আর যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে সারাদেশে ৩ হাজার ৫৮২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০জন। তারা মেয়র পদে ২৩৪, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৫২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করবেন ৬১ হাজার ১৪৩ জন কর্মকর্তা।

দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মত হওয়া নির্বাচনে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ নেবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিএনপির অনেক নেতাই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। এই লক্ষে তারা মাঠ পর্যায়ে নীরবে কাজও করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে না গেলেও প্ররোক্ষভাবে নির্বাচনে যুক্ত থাকার এমন কৌশলের ব্যাপারে দলটির হাইকমান্ডও ইতিবাচক মনোভাব রাখছে বলে বিএনপি সূত্র বলেছে।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফাফার বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া নিয়ে দল থেকে তাদের কাছে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে, পৌর নির্বাচন স্থানীয় হওয়ায় বিএনপির প্রার্থীরা এতে দলীয় ব্যানারের বাইরেও অংশ নিতে পারেন বলে তিনি জানান।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪