নিউজ ডেস্ক :: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি বলে দাবি করেছেন তাদের ছেলেরা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করেননি বলে জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে আলী আহমদ মাবরুর।
আজ রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিতার সাথে শেষ সাক্ষাতের পর এ কথা বলেন তিনি।
মাবরুর বলেন, বাবা কোনো মার্সি পিটিশন করেননি। দেশবাসীর কাছে তার দল এবং তাকে হেয় ও কলঙ্কিত করার জন্য এই মিথ্যা নাটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি লিখে উনার বিচারের নানা ক্রটিপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে বিচারের যাবতীয় অসংগতি তুলে ধরে বলেছেন কিভাবে উনাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
রাত ১১টায় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবারের ২৫ জন সদস্য সাক্ষাতের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে প্রবেশ করেন এবং সাক্ষাৎ শেষে রাত ১২টা ৬ মিনিটে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাননি বলে জানিয়েছেন শেষ সাক্ষাৎ করে কারাগার থেকে বের হয়ে আসা ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বলেছেন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছি এটা ফালতু কথা। আমার মতো মানুষ জীবন ভিক্ষা চাইবে এটা তুমি কি করে বিশ্বাস করলে। আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করতে পারেনি। এ কারণে আমার জিবন নিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।’ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাবার সাথে শেষ সাক্ষাতের পর গাড়িতে ওঠার পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে সাংবাদিকদের বলেন তিনি। এ সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফেসানী হুম্মামের পাশে উপস্থিত ছিলেন।