AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে শহীদ জিয়াউর রহমান গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টকে কেন্দ্র করে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ১ - ২০১৫ | ৮: ৩০ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের : বাড়ি ছাড়া নেতাকর্মীরা

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শহীদ জিয়াউর রহমান গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে খালেদ মিয়া (২৮) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩১ নেতাকর্মীকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত খালেদ মিয়ার পিতা উপজেলার রামধানা গ্রামের আব্দুল মনাফ বাদি হয়ে গতকাল বুধবার এই মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির তত্ত্বাবধানে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৮টি টিম নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়। উপজেলা ফুটবল মাঠে গত ২৯ সেপ্টেম্বর টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহন করতে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রহিম আলীর নেতৃত্বে দৌলতপুর ইউনিয়ন টিম ও বিশ্বনাথ ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুকিতের নেতৃত্বে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন টিমের খেলোয়াড়রা মাঠে উপস্থিত হন। পূর্ব নির্ধারিত সময় বিকেল ৩টায় উদ্বোধনী খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকায় বেলা ২টা থেকে মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন দর্শকরা। খেলা শুরুর আধা ঘন্টা আগে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে খেলার মাঠে উপস্থিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার। এসময় খেলা বন্ধ করতে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ করেন বিশ্বনাথ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। কিন্ত টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ওসির নির্দেশ অমান্য করে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পিছিয়ে বিকেল ৪টায় খেলা শুরু হবে বলে মাইকে এমন ঘোষণা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। খেলা শুরুর ৫মিনিট পূর্বে হঠাৎ করে খেলোয়াড় ও দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাটিচার্জ শুরু করে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে। তখন পুলিশের উপস্থিতিতেই আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এসময় আওয়ামীলীগের এক অস্ত্রধারী বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে খেলা দেখতে আসা খালেদ মিয়া নামের ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এঘটনায় নিহত খালেদ মিয়ার পিতা উপজেলার রামধানা গ্রামের আব্দুল মনাফ বাদি হয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের পূর্ব দশপাইকা গ্রামের মৃত আরশ আলীর পুত্র ও স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদল নেতা রহিম আলী সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩১ নেতাকর্মীকে আসামী করে গতকাল বুধবার বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে, নিহত খালেদ মিয়া ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলে দাবি করছেন আওয়ামীলীগ নেতারা। অপর দিকে, বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করছেন পুলিশের সাথে থাকা হামলাকারী এক আওয়ামীলীগ নেতার ছুড়া গুলিতে খালেদ মিয়া নিহত হয়েছেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন- সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত পুলিশকে সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীকের উপর আক্রমন করে। তাদের ছুড়া গুলিতে একজন নিরীহ লোক নিহত হয়। কিন্ত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী অপকর্মের দায়ভার বিএনপির উপর চাপাতে নিহত খালেদ মিয়াকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে এবং নিহতের বাবাকে প্রলোভন ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের পরামর্শে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী করতে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়ে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন- মামলার সকল আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরো সংবাদ