Search
Close this search box.

বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক সংস্কার কাজে ধীর গতি : জনদূর্ভোগ

Facebook
Twitter
WhatsApp

pic (2)মোহাম্মদ আলী শিপন : বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে পড়েছে। জনবহুল বহুল এই সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত। প্রতিদিন এই গর্ত দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে আসছে। সড়কের গর্তের ফলে জনসাধারণ সঠিক সময়ে যেতে পারছেনা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে। ফলে সড়কের করুণ দশা দেখে সাধারণ মানুষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নানান মন্তব্য করতে শোনা যায়। দীর্ঘ ২/৩বছর ধরে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের চান্দশির কাপন নামক স্থান থেকে শুরু করে জগন্নাথপুর সীমান্তবর্তী এলাকা আটঘর নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় ১৫কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সঠিক সময়ে সংস্কার কাজ না হওয়ায় বড়বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা নিয়ে মহা-সমস্যায় থাকার পরও কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন রাস্তার এমন করুন দশা দেখেও না দেখার বান করে বসে আছেন। তবে এত খারাপ রাস্তা হওয়ার পরও থেমে নেই এখনকার বাস, অটোরিক্সা, টেম্পু, রিসকা, লাইটেস, কার,জীপসহ সকল গাড়ীর চালকদের জীবনের চাকা। তারা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিতে বের হচ্ছেন গাড়ী নিয়ে। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে গাড়ী রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে গাড়ী গুলোর যন্ত্রপাতি। এছাড়া রাস্তাগুলো দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করতে জনসাধারনকে পোহাতে হচ্ছে নানান দূর্ভোগ। করতে হচ্ছে অনেক হিসেব-নিকাশ। রাস্তার এই করুণদশা রোগীদের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ করে দিচ্ছে। রোগী ছাড়াও সুস্থ শরীরের মানুষ জনও এই রাস্তাগুলো দিয়ে নিয়মিত চলাচল করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানাযায়, সকড়টির বেহাল দশার কারণে বেশ কয়েক মাস পুর্বে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় সড়ক সংস্কারের কাজটি পায় মেসার্স তৈয়বুর রহমান ও জেবি এমএম ইঞ্জিনিয়ারিং নামের দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্টানগুলো কাজ পাওয়ার তিন মাস পূর্বে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে দীর্ঘ তিনটি মাসে উিপজেলার কালিগঞ্জবাজারের পূর্বে মাত্র ২৩৫মিটার (৭৭১) ফুর্ট আরসিসি (ডালাই) কাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন মাসেও ওই অর্ধেক আরসিসি কাজ করে বর্তমানে বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণকে পুহাতে দূর্ভোগ। উপজেলার চান্দশিরকাপন নামক স্থানে একটি গর্তের মধ্যে ফেলা হয়েছে বালিমাটি। কিন্তু ওই বালিমাটি বৃষ্টির পানিতে গলে গিয়ে গর্তের মধ্যে কাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন ও জনসাধারণের আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। যারফলে ভোগান্তির পাশাপাশি যাত্রীদের যানবাহনে চলাচল করতে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। জনবহুল বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের কাজ বন্ধ করে চলছে বিশ্বনাথ বাইপাস সড়কের কাজ। তাও বাইপাসের উভয় দিক বন্ধ করে। বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সংস্কার কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাস চালক ছাদিকুর রহমান বলেন, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট  হচ্ছে।
ব্যবসায়ী জামাল আহমদ বলেন, দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হচ্ছে এটি। মাঝে মধ্যে “চেপ দিয়ে লেপ দেওয়া”র কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেন এখানকার সওজের কর্তৃপক্ষে ও কনট্টাক্টরা। যার ফলে রাস্তার প্রকৃত অর্থে কোন সংস্কার হচ্ছেনা বরং সরকারের টাকা দিয়ে শুধু নিজেদের পকেটই গরম করছেন কর্তৃপক্ষ। তা না হলে রাস্তার উপর এত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হত না।
কলেজ ছাত্র মামুন মিয়া বলেন, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পুহাতে হয়।
এব্যাপারে সংস্কার কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তৈয়বুর রহমান পরিচালক তৈয়বুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সড়ক কাজের তদারকি কর্মকর্তা এস ও মুকলেছুর রহমান বলেন, বৃষ্টির জন্য সড়ক সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বৃষ্টি থেমে গেলে কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলার প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু বক্কার বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় সড়ক সংস্কারের কাজটি দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, কাজের ধীরগতি হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবহিত করি।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত