কেক কেটে নিজের ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহানগর, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আনা কেক কেটে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। পরে সেই কেক মাদরাসা, এতিমখানা ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
যদিও তার এ জন্মদিন নিয়ে বিতর্ক রযেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বরাবরই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবস ১৫ আগস্টে তার এ জন্মদিন উদযাপন নিয়ে সমালোচনায় মুখর রয়েছে।
গুলশান কর্যালয় সূত্র জানায়, জন্মদিন উপলক্ষে খালেদা জিয়া বা গুলশান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন উদযাপন করেন না খালেদা জিয়া। তবে দলের নেতাকর্মীরা প্রতিবছরই কেক নিয়ে আসেন। সেই কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবার কর্মস্থল জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। বড় হন দিনাজপুরে। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় খালেদা খানম। পুতুল তার ডাক নাম। বাবা এস্কান্দার মজুমদার ছিলেন ব্যবসায়ী।
তার পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে। মা তৈয়বা মজুমদার দিনাজপুরের চন্দনবাড়ির মেয়ে। ১৯৬০ সালের আগস্টে সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য সায়রুল কবীর খান জানান, শুক্রবারও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের কার্যালযে ম্যাডামের জন্মদিনের কেক কাটা হবে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়ায় যাবেন। সেখানে জুমার নামাজের পর হাঁস-মুরগী বিতরণ করবেন। আসরের নামাজের পর কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সারাদেশে নেতাকর্মীরা তাদের মতো করে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে চেয়াপারসনের জন্মদিন উদযাপন করবেন।
কেক কাটা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, মহানগর সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।