বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডেস্ক : বিশ্বনাথে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের দু’পক্ষের সংর্ঘষে মহিলাসহ অনন্ত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মুন্সিরগাঁও গ্রামের ওয়াজিদ আলী ও হোছন আলী পক্ষের লোকজনের মধ্যে এঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে হুছন আলী পক্ষের আহতরা হলেন হুছন আলী (৭০), আরশ আলী (৬০), চেরাগ আলী (৬৫), সাজিদ আলী (২৮), ফুলতেরা বেগম (৬০)। ওয়াজিদ আলী পক্ষের আহতরা হলেন-বদরুজ্জামান মারজান (১৮), সেলিম (২৮), শামিম (২৪) ও রায়হান (২০)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিরগাঁও গ্রামের হুছন আলী ও ওয়াজিদ আলী গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির বসত ঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার সকাল ৮টায় হুছন আলী বিরোধপূর্ণ ভূমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা প্রদান করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫জন আহত হন। খবর পেয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিস্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে হুছন আলীর ভাগনা চমক আলী বলেন, আমার মামা হুছন আলী তার নিজ বাড়িতে পুরাতন ঘর ভেঙে বুধবার সকালে নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে নুরুজ আলী গংরা হঠাৎ করে আমার মামাসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের পক্ষের ৫জন আহত হয়েছেন।
ওয়াজিদ আলীর পুত্র আলমাছ মিয়া বলেন, বুধবার সকালে আমাদের সীমানায় হুছন আলী গংরা জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে চায়। এতে আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর হামরা চালায়। এতে আমাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। বিষয়টি আপোষ-মিমাংশার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন বলেন, সংর্ঘষের বিষয়টি আমাদের কেউ এখনো অবহিত করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।