মাওয়ায় লঞ্চডুবির ঘটনাস্থলে শুধুমাত্র ধাতব বস্তুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বাকি সব অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাবু। তিনি আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ সনাক্তে শুধুমাত্র কান্ডারি-২ ও জরিপ-১০ ছাড়া বাকি সব সংস্থা ও জাহাজের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হলো।’
তবে বিআইডব্লিটিএ এবং কোস্টগার্ড লাশের খোঁজে সজাগ থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো লাশের সন্ধান পেলে তা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
কান্ডারি-২ এর ক্যামেরা স্ক্যানার সোনারে ধরা পড়া ধাতব বস্তুর বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বাতাস ও তীব্র স্রোত না কমলে ধাতব বস্তুটি পরীক্ষায় কোনো ডুবুরি নদীর তলদেশে পাঠানো সম্ভব নয়। তবে বৈরি আবহাওয়া সরে গেলে কান্ডারি-২ ও জরিপ-১০ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এছাড়া বাকি সব সংস্থার অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, লঞ্চডুবিতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৬২ জন। ৪৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় মিলেছে। ১৫ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে মাদারীপুরের শীবগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। এছাড়া লঞ্চডুবির পর শতাধিক যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।