AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

৪ দিনেও সনাক্ত হয়নি পিনাক, ৩০ লাশ উদ্ধার

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: আগস্ট - ৭ - ২০১৪ | ৮: ৩৫ অপরাহ্ণ

35511_r-13

চার দিন অতিবাহিত হলেও সনাক্ত করা যায় নি পিনাক-৬। এ পর্যন্ত ৩০জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মোট ১৬ লাশ। নিখোঁজদের স্বজনদের অভিযোগ, লাশ উদ্ধার করতে আগ্রহী না সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে লঞ্চের সন্ধানে কাজ করেছে পাঁচটি ইউনিট। বুধবার রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম থেকে আসা কান্ডারি-২। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে পারে জরিপ-১০। এ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ইউনিটগুলো লঞ্চ নিমজ্জিত হওয়ার স্থান থেকে ৫০ বর্গ কিলোমিটার ভাটি পর্যন্ত অনুসন্ধান করেছে।
তবে যে যার মত স্বজনদের লাশ খুজে বেড়াচ্ছেন। এদিকে শরিয়তপুরের চড়সুরেশ্বর, চড়কাঁচিকাটাসহ ভাটির বিভিন্ন এলাকায় লাশ ভেসে উঠলেও সরকারি বাহিনী এসব লাশ উদ্ধার করছে না বলে তাদের অভিযোগ স্বজনদের। তবে মাওয়াঘাটের কন্ট্রোলরুমে দায়িত্ব পালনকারী লৌজহং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, আমরা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছি।
উদ্ধারে প্রযুক্তির ব্যাবহার
বুধবার রাতে উদ্ধার অভিযানে অংশ গ্রহণকারী কান্ডারি-২ জাহাজে রয়েছে সাব বটম প্রোফাইলার। এটি একটি সাউন্ড সিস্টেম সোনার। এটি নদীর তলদেশে কাদা-পলির ভেতরের ৭০ ফুট গভীর পর্যন্ত খুঁজতে পারে। বালুর মধ্যে খুঁজতে পারে ১৮ ফুট পর্যন্ত। এছাড়া অভিযানে অংশগ্রহণকারী সন্ধানী জাহাজে সাইড স্ক্যান, বদ্বীপে ইকো সাউন্ড, তিস্তা ও আইটি ৯৫ জাহাজে সোনার প্রযুক্তি রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ বর্গ কিলোমিটার অনুসন্ধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানের সমন্বয়কারী নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, এরমধ্যে ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তার আগে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ০ থেকে ৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে আজ ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বিভিন্নস্থান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার হয়েছে।  এ পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ থেকে চার, শরিয়তপুর থেকে সাত, বরিশাল থেকে  চার, চাঁদপুর থেকে চার, ভোলা থেকে নয়, লক্ষীপুর  থেকে এক ও মাদারীপুর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে  মাদারীপুরের দুরাইল গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে ইমা (১৮), একই এলাকার শিবচড় উপজেলার কোরকচড় গ্রামের রহিম মাদবরের মেয়ে ইফা আক্তার (১৪), একই ব্যক্তির ছেলে ইব্রাহিম (১), বরিশালের বাকেরগঞ্জের দক্ষিণ দুধালগ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হোসেন (১৫), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সাড়ে এগাররশি গ্রামের আজিজ মাদবরের ছেলে আবু ইউসুফ (২২), একই এলাকার সাতরশি গ্রামের রুবেল মিয়ার মেয়ে ফাইজা (৭), বরিশালের বাকেরগঞ্জের কৃষ্ণকাটি গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন জুলহাস (৪০), গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে ইশরাত জাহান মিম (১৪) ও লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার চড়জগবন্ধু গ্রামের ইদ্রিশ মিয়ার ছেলে সাইদুল হক গাজী (৫৫)’র লাশ।

আরো সংবাদ