সাত বছর ধরে প্রেম অতঃপর বিয়ের স্বীকৃতির দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে ৫দিন অবস্থানের পর এক প্রেমিকাকে রোববার উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে পলাতক প্রেমিকের মা ও মামাকে।
জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার ভাটি বারাপৈত মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত আবু শহীদের পুত্র হাফিজ আব্দুন নূর (৩০) বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসা গ্রামের আব্দুল হান্নানের বাড়ীতে লজিং থাকা অবস্থায় তার মেয়ে পেশায় টেইলার্স আসমা বেগম (২৬) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেমিক জুটির মধ্যে মন দেয়া-নেয়া চলছিল। এক পর্যায়ে প্রেমিক হাফিজ আব্দুন নূর প্রেমিকা আসমা বেগমের বাড়ী থেকে অন্যত্র চলে যান। তবে তাদের প্রেমে কোন ছিঁড় ধরেনি। গত বুধবার প্রেমিক আব্দুন নূর আসমা বেগমকে বিয়ে করার নাম করে বিয়ানীবাজার থেকে তার গ্রামের বাড়ি কানাইঘাটের ভাটি বারাপৈত গ্রামে পালিয়ে নিয়ে আসেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ এবাদুর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয়কে ধর্মীয় শরীয়াত মোতাবেক বিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ আহমদের কাছে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ইউপি কাজী নিকাহ রেজিষ্টারের সময় পরিবারের সদস্যদের চাপে প্রেমিক হাফিজ আব্দুন নূর প্রেমিকা আসমা বেগমকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পালিয়ে সে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু নাছোড়বান্দা আসমা বেগম তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়ী থেকে চলে যাবেন না হুমকি দিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়।
পরে বিষয়টি লিখিতভাবে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবাদুর রহমান গত শনিবার কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার থানার এসআই শামছু প্রেমিক আব্দুন নূরের বাড়ীতে গিয়ে আসমা বেগমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকের মা ফয়জুন্নেছা ও মামা আজমল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই শামছু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতা না হলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।