অবশেষে সিলেট কোতয়ালী থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি আতাউর রহমানসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের নির্যাতনে আহত ছাতকের ব্যবসায়ী কামাল আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই শামীম চৌধুরী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি(মিডিয়া) রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
আতাউর ছাড়াও মামলার অপর আসামীরা হলেন-কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শ্যামল বণিক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম, উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আবু তাহের ও কনস্টেবল অধির। হাইকোর্টের নির্দেশনার ১০ দিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ(এসএমপি)-এর সহকারী কমিশনার দেবজিৎ সিং চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কোতয়ালী থানা সূত্র জানায়, নির্যাতন, হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৪১/৩৪২/৩২৭/১০৯/৩৪/১৫/১৩১ এর ধারাসহ সংশ্লিষ্ট ধারানুযায়ী মামলাটি এজাহারভূক্ত করা হয়েছে। এখন আইনানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই সিলেট নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে ছাতক পৌরসভার মেয়র কালাম আহমদ চৌধুরীর বড় ভাই কামাল আহমদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। এরপর থানা কাস্টডিতে কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান ও ওসি (তদন্ত) শ্যামল বণিক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম, উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) তাহের ও কনস্টেবল অধির থানার ভেতর শারীরিক নির্যাতন করেন।
এ ঘটনায় কামাল আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই শামীম আহমদ চৌধুরী ২৪ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও মো. হাবিবুল গনির সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ পুলিশের আইজিপি এবং সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে ওসি আতাউরসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এমন নির্দেশনার প্রেক্ষিতেই নির্যাতিত কামাল আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই শামীম আহমদ চৌধুরী রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং হচ্ছে- ৮, তারিখ-০৩/০৮/২০১৪।
সূত্র : সিলেটের সকাল