AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

সরেজমিন সিলেট : ঈদের উষ্ণ হাওয়া চারিদিকে

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ২২ - ২০১৪ | ১: ০৫ পূর্বাহ্ণ

একেবাড়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেললে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধমীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীতে এখন বইছে ঈদের উষ্ণ হাওয়া। চারিদিকে এখন একটাই আওয়াজ- ঈদ! সিলেটে এখন শেষমুহূর্তে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর বিভিন্ন দিক নিয়ে সরাসরি সিলেট থেকে রফিকুল ইসলাম কামাল :

Pic

রং লেগেছে নগরীতে :
দ্রুতই চলে যাচ্ছে রমজান। ঘনিয়ে আসছে ঈদ। সর্বত্রই এখন ঈদের আমেজ। আর ঈদকে উপলক্ষ করে নতুন রূপে সেজেছে সিলেট নগরী। রং-বেরংয়ের আলোকবাতিতে ঝলমল এক নগরী এখন সিলেট। নগরীর প্রায় প্রতিটি শপিং মলেই করা হয়েছে ব্যাপক আলোকসজ্জা। সবমিলিয়ে এখন উৎসবের রং পুরোদমে লেগেছে সিলেট নগর জুড়ে।
ক’দিন আগেও, যখন রমজান আসি আসি করছিল, তখন নগরজুড়ে মানুষের মধ্যে একটা উৎকন্ঠা কাজ করছিল- কি করে পার করবো রমজান! কেমন করে কাটবে দিনগুলো! কিন্তু রমজান মাস শুরু হতে না হতেই সব উৎকন্ঠা উবে গিয়ে এখন নগরজুড়ে উৎসবের অপেক্ষা। আনন্দের ফল্গুধারায় ভাসতে প্রবল প্রতীক্ষায় এখন মানুষ। ক্রমেই এগিয়ে আসছে উৎসব লগ্ন। আর সেই উৎসবের আমেজে পুরো সিলেট নগরী এখন রংয়ে রঙ্গীন। নগরীর প্রত্যেকটা মার্কেটে-শপিং মল এখন বাহারি রংয়ের আলোকবাতিতে উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছে। লাল-নীল-হলুদ-বেগুনীসহ নানান রংয়ের আলোকবাতিতে নবরূপে সাজা নগরীর শপিং মলগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে মনোরম আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশের।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি শপিং মলই বাহারি রংয়ের আলোকবাতিতে সাজানো। শপিং মলগুলোতে ঝলমল করে জ্বলছে অসংখ্য ছোট ছোট আলোকবাতি। নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, সিটি সেন্টার, সিলেট প্লাজা, আল হামরা শপিং সিটিসহ প্রায় প্রত্যেকটি বড় শপিং মলকে ঈদ উপলক্ষে উৎসবের আেেমজে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর নয়াসড়কস্থ প্রতিটি অভিজাত ব্রান্ড শপে ব্যাপকহারে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। আড়ং, সী, মাহা, লা রিভ প্রভৃতি অভিজাত কাপড়ের দোকানগুলো উৎসবের রঙ্গে পুরোপুরি মাতোয়ারা। এমনকি পুরো নয়াসড়ক রাস্তাজুড়ে ঝলমলে আলোকবাতিতে উজ্জ্বল এখন।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাহাবউদ্দিন নামক একজন বললেন, নগরীতে এখন অন্য ধরনের আমেজ বিরাজ করছে। এমন আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরী হয়।
তবে শুধু শপিং মলগুলোতেই নয়, রং লেগেছে মানুষের মনেও। সেই রং উৎসবের রং। ঈদ উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার জন্য প্রবল অপেক্ষা এখন নগরজুড়ে।

‘মানুষের চেয়ে মার্কেট বেশি! ব্যবসা মন্দা’ :
ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সিলেট নগরীতে বাড়ছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করা মানুষের ভীড়। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ভীড়। নগরীর মার্কেটগুলোতে এখন ঢুকতে গেলে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়! মানুষ আর মানুষ যেন চারিদিকে, প্রতিটা মার্কেটে। ব্যতিক্রম নয় নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে অবস্থিত শুকরিয়া মার্কেটও। ক্রেতাদের যথেষ্ট ভীড় রয়েছে শুকরিয়ায়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন,‘আগেরবারের তুলনায় এবার ব্যবসা মন্দা চলছে।’ এর কারণ হিসেবে ‘নগরীতে মানুষের চাইতে মার্কেট বেশি হওয়া’কেই দায়ী করছেন তারা।
সরেজমিনে শুকরিয়া মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরাও শুকরিয়া মার্কেট থেকে ঈদের কেনাকাটা করছেন। মার্কেটের কিছু কিছু কাপড়ের দোকানে দেখা গেল ক্রেতাদের ঠাসা ভীড়। এসব দোকানের বিক্রেতারা দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না। তবে বিপরীত চিত্রও দেখা গেল। কিছু কিছু দোকানের বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন- এমন চিত্রই দেখা গেল।
হায়দার এন্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. তোতা মিয়ার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তোতা মিয়া বলেন,‘গতবারের চেয়ে এবার ব্যবসা বেশ মন্দা যাচ্ছে। এবার লস দিতে হবে।’ কেন এমন অবস্থা- এই প্রশ্নের জবাবে তোতা মিয়া বললেন,‘আসলে নগরীতে মানুষের চাইতে মার্কেটের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। যার কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছি।’ ঈদের যে কয়দিন বাকি আছে, তাতে কি এবার লাভের আশা করতে পারেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিন বললেন,‘নারে ভাই! এবার লস দিতে হবে!’ একই ধরনের কথা বললেন মা জননী শাড়ি ঘরের মালিক নজরুল ইসলাম। তার দোকানের ব্যবসাও গতবারের চাইতে খারাপ বলে জানালেন তিনি। এবার লস দেবেন বলেও মন্তব্য করলেন নজরুল। তবে তিনি জানালেন যে ব্যবসা হচ্ছে, তন্মধ্যে থ্রি-পিসই বেশি চলছে।
হেলাল ক্লথ স্টোরের প্রোপাইটার আবদুল মুতাল্লিব আর পাঞ্জাবী পয়েন্টের মালিক আতিকুর রহমান দুদুলের কন্ঠেও একই সুর বাজলো। ব্যবসা মন্দা যাওয়ার কারণ হিসেবে মার্কেট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ফুটপাথের ব্যবসাকেও দায়ী করলেন তারা। একইসাথে মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যদশাকেও ব্যবসা খারাপ হওয়ার একটা কারণ হিসেবে দায়ী করলেন তারা। তবে ভিন্ন কথা শুনা গেল অন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে। ডায়না শাড়ি ঘরের মালিক বললেন,‘মন্দ না, ভালোই চলছে ব্যবসা।’
তামিম ফ্যাশনকস’র পরিচালক জানালেন,‘গতবারের চেয়ে ভালোই চলছে এবার ব্যবসা।’ কোন ধরনের কাপড় বেশি চলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন,‘মেয়েদের কাপড়ই বেশি চলছে। বিশেষ করে রেডি থ্রি-পিস বেশ চলছে।’ শুকরিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা তরুণী ফাহমিদা জানালেন,‘এই মার্কেটাতে কিছুটা কম দামে ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। তাই এখানেই কেনাকাটা করলাম।’ হৃদয় খান নামের এক তরুণ বললেন,‘এখনো কিছু কিনিনি, মার্কেট ঘুরে দেখছি।’

দর্জিপাড়ার অর্ডার খাতা ‘ক্লোজড’!
দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। সকাল থেকে শেষ রাত অবধি কাজ আর কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছেন তারা। এমনকি বাসা-বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। তবু যেন কমছে না তাদের কাজ! আর তাই ২০ রমজানের পর থেকে নতুন করে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এখন চলছে শুধু পূর্বে অর্ডার নেয়া কাজ শেষ করার তোড়জোড়।
দর্জিপাড়া- সারাবছর ব্যস্ত থাকলেও ঈদ এলেই বহুগুণ বেড়ে যায় তাদের ব্যস্ততা। বিশেষ করে রমজানের ঈদে কাজের চাপে পাগলপ্রায় হওয়ার দশা হয় তাদের। রমজানের শুরু থেকেই আসতে থাকে একের পর এক কাজের অর্ডার।  নিজের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে তরুণ-তরুণীরা ভীড় করেন দর্জি দোকানগুলোতে। এবারও দর্জিপাড়ার সেই ‘ঐতিহ্যে’ ভাটা পড়েনি! যথারীতি রমজানের শুরু থেকেই একের পর এক পোশাক বানানোর অর্ডারে ভরতে থাকে দর্র্জিদের অর্ডার খাতা। সেই অর্ডারের চাপ সামলাতে ২০ রমজান থেকেই নগরীর সিংহভাগ দর্জি ব্যবসায়ীরা ক্লোজড করে দিয়েছেন নিজেদের অর্ডার খাতা। এখন ‘কিভাবে ঈদের আগেই গ্রাহকের অর্ডার সম্পন্ন করা যায়’ এই চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে নগরীর দর্জিপাড়া জুড়ে। ঈদের আগেই যাতে অর্ডার সরবরাহ করা যায়, সে কাজেই মহাব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সেই সেহরি পর্যন্ত টানা কাজ করছেন তারা। ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে, বাসা-বাড়ি বাদ দিয়ে দর্জি দোকানকেই এখন ঘর-বাড়ি বানিয়েছেন দর্জিরা।
সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি দর্জি দোকান ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেল। দর্জিরা বলছেন- এবার তরুণ-তরুণীরাই শার্ট-প্যান্ট, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক বানাতে বেশি করে ভীড় করেছেন। এবার পোশাক বানানোর মজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানালেন দর্জিরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন-কারিগরদের মজুরি বৃদ্ধি, দোকান ভাড়া বৃদ্ধি, সুঁই-সুতাসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিকের দামি বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলেই তারা বাধ্য হয়ে মজুরি কিছুটা বাড়িয়েছেন।
নগরীর শুকরিয়া মার্কেটের ড্রেসি টেইলার্সের মালিক জানালেন,‘মজুরি কিছুটা বাড়ানো হলেও তাতে ব্যবসায় কোনো খারাপ প্রভাব পড়েনি। বরঞ্চ ভালোই চলছে ব্যবসা।’ দি সেঞ্চুরী টেইলার্সের প্রোপ্রাইটার রেজওয়ানুল কবির রেজা বলেন,‘নতুন করে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। পুরনো অর্ডারগুলো সরবরাহ করতেই হিমশিম খাচ্ছি।’ দ্য মেট্রো টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসাইন রেজা ফরহাদ জানালেন,‘নগরীতে অতিরিক্ত হারে টেইলার্সের দোকান গড়ে ওঠায় ব্যবসায় তার খারাপ প্রভাব পড়েছে।’ এছাড়াও শৈলী টেইলার্স, রংবেরং টেইলার্স, সুবাসি টেইলার্স, রংধনু টেইলার্স প্রভৃতি দর্জি দোকানের মালিক বা প্রোপ্রাইটারদের সাথে কথা বলে জানা গেল- সবমিলিয়ে তাদের ব্যবসা এবার খারাপ হয়নি। প্রায় সবাই-ই নতুন করে গ্রাহক অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

তারা অভিজাতে, ওরা ফুটপাথে :
ঈদ যতোই নিকটে আসছে, ততোই বাড়ছে কেনাকাটায় মানুষের ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না নগরীর কাপড় ব্যবসায়ীরা। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ধনী-গরীব সবাই এখন ঈদের কেনাকাটা নিয়ে মহাব্যস্ত। তবে উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তরা ছুটছেন নগরীর ফ্যাশন হাউস কিংবা অভিজাত শপিং মলগুলোতে, অন্যদিকে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর ভরসা ফুটপাথ।
ঈদের ক্ষণগণণা শুরু হয়েছে। ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। শেষমুহুর্তের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। নগরীর উচ্চবিত্তরা ছুটছেন ফ্যাশন হাউস কিংবা নামিদামি ব্রান্ডশপগুলোতে। নগরীর বেশিরভাগ উচ্চবিত্তরাই কাপড় কেনার জন্য নয়াসড়কস্থ ফ্যাশন হাউস আর ব্রান্ডশপগুলোতে ছুটছেন। বিশেষ করে আড়ং, রং, মাহা, শি, কাপ্পা, শৈল্পিক, রমনী, ট্র্র্যাডিশন, অপরূপা, শিলামনি, মাম্মি, লা রেভ, প্রবর্তন, মেঘবালিকা প্রভৃতি ফ্যাশন হাউস আর ব্রান্ডশপগুলোতে উপচে পড়া ভীড় উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের। অন্যদিকে জুতা কেনার জন্য এই শ্রেণীর মানুষরা এপেক্স, বাটা, লট্টো, ইনফিনিটি প্রভৃতি ব্রান্ডের জুতার দোকানগুলোতেই পা রাখছেন।
এদিকে নগরীর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা ছুটছেন অভিজাত সব শপিংমলগুলোতে। বিশেষ করে ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, সিলেট সিটি সেন্টার, আল হামরা শপিং সিটি, সিলেট মিলেনিয়াম, কানিজ প¬াজা, মানরু শপিং সিটি, গ্যালারিয়া এবং পুরনো ঐতিহ্যবাহী শপিংমলের মধ্যে শুকরিয়া, লতিফ সেন্টার, মধুবন, সিলেট প¬াজা এগুলোতেই ছুটছেন তারা। এসব শপিংমল থেকেই তারা কাপড় কেনার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রও কিনছেন। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা হাসান মার্কেট, আহমদ ম্যানশন, কাজী ম্যানশন এসব মার্কেট থেকেই করছেন ঈদের কেনাকাটা।
উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তরা ফ্যাশন হাউস আর ব্রান্ড শপ কিংবা অভিজাত শপিংমলের দিকে ছুটলেও নিম্নবিত্ত মানুষজনের ভরসা ফুটপাথ। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাথে এক শ্রেণীর ভ্রাম্যমাণ হকাররা কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা- এসব এলাকার ফুটপাথগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে প্রয়োজনীয় সবকিছু। ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, লুঙ্গি, বেল্ট, টুপি, জুতা, মেয়েদের থ্রি-পিস, টু-পিস, শাড়ি, সিঙ্গেল কামিজ, রেডিমেড কামিজ, টপস, স্কার্ট, জুতাসহ সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাথে। দরিদ্র মানুষরা মনের আনন্দে কিনছেন এসব পণ্য। এদিকে শুধু নগরীর মানুষজনই নয়, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও প্রতিদিন শহরভীমুখে ঈদের কেনাকাটার জন্য ছুটে আসছেন মানুষ।

আরো সংবাদ