AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিস্ময়কর মাকড়সার জাল !!!

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ২১ - ২০১৪ | ৪: ৪৬ অপরাহ্ণ

59771631

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডেস্ক : মাকড়সা শরীরের ভেতর থেকে এক ধরনের রেশমের মতো সুতা বের করে জাল তৈরি করে। আর এই জালে আটকা পড়ে মাকড়সার শিকার। মাকড়সার জালের সুতা অত্যন্ত মজবুত, প্রসারণযোগ্য হলেও দেখে তা মনে হবে না। মাকড়সার জাল নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। চেষ্টা করছেন এর রহস্য ভেদ করার। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মাকড়সার জালে রয়েছে এক রহস্যময় প্রযুক্তির ব্যবহার। আর তাদের কৌতূহলের প্রধান কারণ হলো মাকড়সার জাল থেকে তৈরি রেশম কেন এত শক্ত হয়। সম্প্রতি জার্মানির হাইডেলবার্গ ইনস্টিটিউট ফর থিওরিটিক্যাল স্টাডিজের প্রধান বিজ্ঞানী ড. ফ্রাউক গ্র্যাটার এবং তার দল মাকড়সার জালের রেশমের গোপন রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন অর্থাৎ মাকড়সা থেকে তৈরি রেশমের সূক্ষ্ম গঠন সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছেন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন মাকড়সার দেহ থেকে যে রেশমের মতো তন্তু বা সুতা বের হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট আকৃতি নেই। এসব পদার্থ এমনিতে কাউকে চমকে দেয়ার মতো নয়। তবে তারা যখন একসঙ্গে হয় রেশমের মতো সুতা তৈরি করে তখন তা হয় দারুণ শক্তিশালী। তারা দেখেছেন, মাকড়সার এই সুতা পারমাণবিক পর্যায়ে গঠিত। তারা এতে অণুর গঠনশীল কাঠামো সম্পর্কে বেশকিছু ধারণা পেয়েছেন। জানতে পেরেছেন কীভাবে মাকড়সা বিস্ময়কর প্রযুক্তিতে এই সুতা তৈরি করে। ড. ফ্রাউক গ্র্যাটার বলেছেন, অনেকেই এই প্রাকৃতিক সুতার গঠনগত বৈশিষ্ট্য খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন। মাকড়সার জালের এমনিতেই যে শক্তি আছে তা ইস্পাতের মতো শক্ত। এটি টায়ারে ব্যবহৃত সিনথেটিক তন্তু কেভলারের চেয়েও শক্ত এবং অন্যদিকে এর ঘনত্ব সুতি বা নায়লনের চেয়ে কম।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মাকড়সার রেশম সুতায় মূলত দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে। একটি উপাদান নরম এবং অন্যটির কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই। অন্যটি শক্ত এবং অতি স্বচ্ছ বা পরিষ্কার। এর নরম উপাদানটি রেশমের স্থিতিকরণে কাজ করে এবং স্বচ্ছ উপাদানটি এই সুতাকে শক্ত করে তোলে। ফ্রাংকফুর্টের সেংকেনবার্গরিসার্চ ইনস্টিটিউটের অ্যারাকনোলজি বিভাগেও মাকড়সা-জাতীয় প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। দলটির প্রধান পিটার ইয়েগার বলেন, তাদের এই গবেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে তা মাকড়সার রেশম তৈরির রহস্য জানতে সাহায্য করছে এবং এই প্রযুক্তি খুব সহজেই সুতা তৈরির কারখানায় ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় পাওয়া তথ্য আরো অনেক কাজেও সহজে লাগাতে পারবেন বলেও আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরো সংবাদ