AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে বিলুপ্তির পথে মসজিদের সাইরং

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৭ - ২০১৪ | ১১: ৪২ অপরাহ্ণ

images

মোহাম্মদ আলী শিপন : রমজান মাস আসলে ইফতার কিংবা সেহরীর সময় মসজিদে সাইরং দেওয়া হত। কালের পরির্বতেন হারিয়ে যেতে বসেছে রমজান মাসে মসজিদে সাইরং দেওয়া। বিশ্বনাথে চলতি রমজান মাসের প্রায় ৪ রজমান পেরিয়ে গেলেও উপজেলার অধিকাংশ মসজিদে সাইরং বাজতে শুনা যায়নি।
অনুন্ধানে জানাযায়, প্রায় পাঁচ বছরে পূর্বে উপজেলা প্রায় মসজিদে রমজান মাস আসলে ইফতার বা সেহরীর সময় ইমাম বা মুয়াজ্জিনরা মসজিদের মাইকে সাইরং দিতেন। সেহরীর সময় যখন মসজিদে সাইরং দেওয়া হত তখন রোজাদার মানুষজন ঘুম থেকে উঠে সেহরী খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন এবং ইফতারের সময় সাইরং দিলে রোজা ভাংগতেন। পরে ইমাম মসজিদে আযান দিতেন। কিন্তু বর্তমানে কালের পরির্বতেন হারিয়ে গেছে সেই সাইরং। মোয়াজ্জিনরা সাইরংয়ের বদলে এখন মসজিদে আযান দেন। সেহরীর সময় হলে মসজিদে একবার বা দুই বার ইমামদের কণ্ঠ বলা হয় সেহরীর সময় হয়েছে ঘুম থেকে উঠেন। আগের দিনে ইমামরা সাইরংয়ের পাশাপাশি সেহরীর সময় জীগির আজগার করতেন। অনেক এলাকায় যুবকদের উদ্যোগে হ্যাড মাইক দিয়ে সেহরীর সময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে রোজাদার মানুষজনের ঘুম থেকে সজাগ করতেন। বর্তমান সময়ে যুবকরাও এখন এসব করতে দেখা যায় না। আগের দিনের রমজান মাসের সব কিছু বর্তমানে আর লক্ষ করা যাওয়া না।
উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের আবদুস সালাম মুন্না বলেন, ছোট বেলায় নিজগ্রামসহ আশ-পাশ গ্রামের মসজিদে মাইকে সাইরং বাজলে সেহরী কিংবা ইফতার করতে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এখন ডিজিটাল যুগে আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেহরী সময়ে একে অপরকে ঘুমতে থেকে জেগে তুলে। এখনও আর মসজিদের সাইরং বাজেনা।
উপজেলার রামপাশা গ্রামের বৃদ্ধা মহিলা খোদেজা বেগম বলেন, অনেক দিন ধরে রমজানে মাসে মসজিদে সাইরং দিতে শুনা যায়নি। আগে মসজিদে সাইরং শুনে রোজা রাখতাম এবং রোজা ভাঙ্গতাম।
শ্বাসরাম গ্রামের আব্দুল বারি বলেন, ছোট বেলায় অনেক গ্রামে রমজান মাসে মসজিদে সাইরং দেওয়া হত এবং হ্যাড মাইক দিয়ে সেহরী সময় রোজাদার মানুষজন কে ঘুম থেকে তোলা হত। এখন এসব হারিয়ে গেছে।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, আগেরকার দিনে রমজান মাস আসলে সেহরী কিংবা ইফতারে সময় ইউপির প্রতিটি মসজিদে সাইরং দেওয়া হত। এখন আর সেই সাইরং মসজিদগুলোতে শুনা যায় না।
নোয়াগাঁও গ্রামের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন কবির মিয়া বলেন, আগে মসজিদে সাইরং দেওয়া হত। কিস্তু এখন সেই সাইরং দেওয়া হয় না। কারণ এটা বিকল শব্দ হয় যার ফলে হার্টের রোগীদের অসুবিধা হয়।

আরো সংবাদ