AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

কে জিতে নেবে সোনার কাপ?

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৬ - ২০১৪ | ১১: ২৭ অপরাহ্ণ

31116_f4

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডেস্ক : কে জিতে নেবে সোনার কাপ? ভবিষ্যদ্বাণীর জগতে অনিশ্চয়তা আর হতাশার ছড়াছড়ি। বিশ্বের নামীদামি মিডিয়া মুঘলরা ভবিষ্যদ্বাণী ও সমীক্ষানির্ভর ফল প্রকাশ করা অব্যাহত রেখেছেন। লন্ডনের বিখ্যাত সাময়িকী দি ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গতকালের সমীক্ষামতে ৪৭ ভাগ মানুষই মনে করেন ব্রাজিলই কাপটা নেবে। ব্লুমবার্গ-ও তা-ই বলেছে। আর দি নিউ ইয়র্ক টাইমস গত ১০ই জুন ১৯টি দেশের ফুটবল ফ্যানদের ওপর একটি জরিপ করেছিল। এতে দেখা গেছে, আর্জেন্টিনার ৪৭ ভাগ বলেছে, আর্জেন্টিনা কাপ নেবে। তবে তাদেরই ৩৯ ভাগ বলেছে সুন্দর ফুটবল খেলে ব্রাজিল। ২৩ ভাগ বলেছে স্পেন।  আবার আর্জেন্টিনার ২৫ ভাগ বলেছে কাপ পাবে ব্রাজিল। আবার ব্রাজিলের ৬৪ ভাগ বলেছে কাপ তারাই নেবে। তবে ১০ ভাগ বলেছে কাপ নেবে জার্মানি।
দি ইকোনোমিস্ট একটি প্রবাবিলিটি সার্কেলও প্রকাশ করেছে। অনলাইনে প্রতিনিয়ত সেটির হালনাগাদকরণ ঘটে। এর আগে সোনার কাপ জেতার সম্ভাবনায় তাদের ওই সার্কেলে ব্রাজিল ২১ ভাগ, স্পেন ৭.৬ ভাগ ও জার্মানি সাড়ে সাত ভাগ পেয়ে প্রতিযোগিতায় ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে স্পেন ছিটকে পড়েছে।
বিখ্যাত নিউজনেটওয়ার্ক ব্লুমবার্গ গতকাল বলেছে, ফাইনাল হবে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে। আর ৫৭ ভাগ মনে করেন জিতবে ব্রাজিল। ল্যাটিন পোস্ট গতকাল বলেছে, বেলজিয়ামকে দুই গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে দেখা যাবে।
লন্ডনের দি টেলিগ্রাফের অ্যালান ম্যাসি গত ৩০শে জুন লিখেছিলেন, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ডিন কারলান বলেছেন, বিশ্বকাপে যদি আমাদের টিম হেরেই যায়, তাহলে আমাদের উচিত হবে নাইজেরিয়াকে সমর্থন করা। কিন্তু হায়। নাইজেরিয়া। হায় সুপার ঈগল। তাদের পুরো টিমের বিশেষ করে কর্মকর্তাদের জীবনে বরং আকস্মিক অমাবস্যা নেমেছে। কারণ আদালতের আদেশে ফুটবলের জাতীয় কমিটিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকার একজন প্রশাসক নিয়োগ করেছে। ফিফা নাইজেরিয়াকে ফুটবল থেকে স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে। কারণ ফুটবলে সরকারি হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ।
এদিকে বিবিসি’র ফুটবল প-িতরা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন যে, মাঠে রুক্ষ ও উগ্র আচরণ নিয়ে খেলছে ব্রাজিল। তারা কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ জয় পেতে গিয়ে ৩১টি ফাউল করেছে। অবশ্য তার দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীও ফাউল করেছে ২৩টি।
ইংল্যান্ডের সাবেক উইংগার ক্রিস ওয়েডেলের মতে নিজের ঘরের মাঠে যদি তারা ট্রাম্প করতেই পারে তাহলে সেটা হবে ‘‘একটি নিকৃষ্টতম দলের বিশ্বকাপ জয়।’’
বিবিসি’র ফুটবল প-িত মার্ক লরেনসন যোগ করেছেন, ‘আপনি যদি স্কলারিকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোন দুই খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল? তখন তার উত্তর হবে নেইমার ও সিলভা।’
এর মানে দাঁড়াচ্ছে নেইমার নেই। আর সিলভা রোববারের ম্যাচে খেলতে অপারগ থাকবেন।
বিবিসি’র প-িতরা ভ্রান্ত প্রমাণ হতেই পারেন। কারণ ইএসপিএন বলেছিল কাপ নেবে ফ্রান্স। পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছিল তারা। সবই মনে হয়েছে খুবই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যোগ-বিয়োগ, পাটিগণিত আর নামতায় কাজ হয় না। সব হিসাবনিকাশই এলোমেলো হয়ে যায়।
কিন্তু ব্রাজিলকে বলা হতো গার্ডিয়ান অব বিউটিফুল গেমস। সেই গর্বটা এবারে তার অনুরাগীরা করতে পারছে না। তবে বিশ্বখ্যাত সমীক্ষা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাচ বলেছে বিশ্বকাপ নেবে ব্রাজিল।
স্কাইস্পোর্টসের পল মারসনের ভবিষ্যদ্বাণীতে আছে ব্রাজিল, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা।
সম্পাদক ও প্রকাশক ক্রিস্টোফার হ্যারিস বলেছিলেন ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে কঠিন লড়াই হবে। তবে জিতবে জার্মানি। ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার ক্ষেত্রেও তার পূর্বাভাস ঠিক হয়েছে।
তাই আর্জেন্টিনা ও বেলজিয়াম সম্পর্কে তার তৃতীয় ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয় কিনা সেটা দারুণ একটা কৌতূহলী ব্যাপার হবে। কারণ হ্যারিস ভয়ানক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি বলেছেন, বেলজিয়ামের কাছে আর্জেন্টিনা চরমভাবে পরাস্ত হবে। নেদারল্যান্ডস ও কোস্টা রিকার মধ্যে তার পূর্বাভাস ছিল, নেদারল্যান্ডস সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিন জয়ী হয়। সেমিফাইনাল হবে ব্রাজিল বনাম জার্মানি এবং বেলজিয়াম বনাম নেদারল্যান্ডস। ফাইনাল হবে ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। আর কাপটা জিতে নেবে নেদারল্যান্ডস। সিনিয়র ম্যানেজিং এডিটর কার্তিক কৃষ্ণাআয়ারও মনে করেন কাপ নেবে ডাচ্‌রাই। লেখক  রবার্ট হে জুনিয়র মনে করেন সেমিতে ব্রাজিল ও জার্মানি ২-১ এবং আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ৪-৩ গোলে শেষ হবে। আর ফাইনাল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে সমাপ্ত হবে।
তবে ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা আলোচনা করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডেভিড লিওনহার্ড। তিনি লিখেছেন, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে টিমগুলো যে ধরনের সাফল্য অর্জন করে তা-ই আসলে অনেক কিছু বলে দেয়। ১৯৮৬ থেকে দেখা গেছে, তিনটি গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে অন্তত দু’টোতে যারা জয় না পেয়েছে তারা সোনার কাপ করায়ত্ত করতে পারেনি। এই সময়ের মধ্যকার সাত চ্যাম্পিয়নের মধ্যে ছয় চ্যাম্পিয়নই গ্রুপ পর্যায়ের কোন একটি ম্যাচও হারেনি।

আরো সংবাদ