AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

একটু উদ্যোগ নিলে হাসান রাজার বাড়ীও হতে পারে সাহিত্য সংস্কৃতির মিলন কেন্দ্র

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুন - ৩০ - ২০১৪ | ৫: ২৩ অপরাহ্ণ

Pic0

এমদাদুর রহমান মিলাদ : ‘‘মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়ারে কান্দে হাছন রাজার মন মইনারে’’ অমর কালজয়ী এই গানের স্রষ্টা মরমী কবি হাছন রাজা।  এই গানের মতই হাছন রাজার বিশ্বনাথের রামপাশার পৈত্রিক বাড়ী এখন অযতেœ অবহেলায় মাটির সাথে মিতালী করে নিরবেই কান্দে। অথচ এই হাছন রাজাই বিশ্বনাথের রামপাশা গ্রামেই জীবন-যৌবন কাটিয়েছেন। বাংলার মরমী সাহিত্যে হাছন রাজার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
হাসন রাজার পরিবারের বিশাল ভু-সম্পত্তি এখনো বিশ্বনাথের রামপাশায় রয়েছে। বিশেষ করে রামপাশার বাড়ীটি এখন অযতœ অবহেলায় ধ্বংসের ধারপ্রান্তে। তবুও শতশত সাহিত্য প্রেমী মানুষ এখন এক নজর দেখার জন্য দুর দুরান্ত থেকে রামপাশায় যান। গিয়ে দেখেন একটি জরা জির্ন ভঙ্গুর পাকা বাড়ী কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ীর সামনের বিশাল দীঘিসহ এই জমিতে হাছন রাজার স্মৃতির নিদর্শন সরূপ অনেক কিছুই করা যেতে পারে। পরিকল্পিতভাবে এই জায়গাকে কাজে লাগিয়ে দেশি বিদেশী পর্যটকদের জন্য করা যেতে পারে সাংস্কৃতিক স্পট। করা যেতে পারে সাহিত্য সাংস্কৃতির মিলন কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে যদিও হাছন রাজা পরিবারের সদস্য দেওয়ান তালেবুর রাজা চৌধুরীর পুত্র ‘হাছন রাজা সমগ্র’ গ্রন্থের সম্পাদক দেওয়ান তাছাওয়ার রাজা কয়েক বছর পূর্বে জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই রামপাশায় সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য একটি বিশাল কমপ্লেক্স তৈরী করা হবে। যাতে থাকবে লোক সাহিত্য ইন্সিটিউট, পাঠাগার, যাদুঘর, সেমিনার হল, আর্ট গ্যালারী ইত্যাদি। কিন্ত আজো সেই উদ্যোগের প্রতিফলন ঘটেনি।
শুধু হাছন রাজার পরিবারই নয় সরকারেরও উচিত বাংলা মরমী সাহিত্যের এই কৃতিমান পুরুষের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য এখানে একটি সাংস্কৃতিক কলেজ কিংবা মরমী সাহিত্য যাদুঘর প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা। বর্তমানে হাছন রাজার বাড়ীটি রামপাশার যে জায়গায় আছে সেখান থেকে সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য একদিকে বিশ্বনাথ হয়ে সিলেট, অন্যদিকে গবিন্ধগঞ্জ হয়ে সুনামগঞ্জের সাহিত্যপ্রেমীদের সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্ব পূর্ন এই জায়গায় অচিরেই যদি কোন কিছু করা না হয় তাহলে অদুর ভবিষ্যতে জায়গার দামের বিভেচনা কোন কিছু করা সম্ভব নাও হতে পারে।

আরো সংবাদ