AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

গাজায় স্কুলের পর এবার কাঁচা বাজারে ইসরাইলি হামলা॥ নিহত ১৭

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৩১ - ২০১৪ | ২: ০৩ অপরাহ্ণ

33624_ga

গাজায় জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত স্কুলে হামলা চালানোর পর এবার একটি কাঁচা বাজাওে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার বিকেলে শুজায়া এলাকায় একটি শাক-সবজি এবং ফলমূলের বাজারে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ১৬০জন আহত হয়েছে। ইসরাইলি হামরায় নিহতের সংখ্যা ১৩ শ’ ছাড়িয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলার সময় শত শত লোক ওই বাজারে কেনা-কাটা করছিলেন।
ইসরাইলের ডাকা চার ঘণ্টার অস্ত্র বিরতির মাঝে এই আক্রমণ ঘটে। তবে গাজায় ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এই অস্ত্র বিরতি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ফিলিস্তিনি ডাক্তাররা বলছেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস উদ্বাস্তু শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় সাতজন নিহত হয়।
অন্যদিকে,  ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় সংঘর্ষে তাদের তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের নিন্দা
গাজায় একটি স্কুলের আশ্রয় শিবিরে ইসরাইলি ট্যাংক হামলাকে জাতিসঙ্ঘ  ‘ধিক্কারজনক’ বলে বর্ণনা করেছে।
গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার জাতিসঙ্ঘ-পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি ট্যাংকের গোলাবর্ষণে অন্ত: ১৫জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০জন আহত হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ ত্রাণ সংস্থা ‘আনরো’-র মুখপাত্র ক্রিস গানেস বলেছেন, শিশুদেরকে ঘুমের মাঝে হত্যা করা হয়েছে।
বাচ্চারা তাদের মা-বাবার সাথে জাতিসঙ্ঘ-নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের ক্লাসরুমের মেঝেতে ঘুমচ্ছিল। বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে নিহত হয়েছে’, গানেস বিবিসিকে বলেন।
এটা নিশ্চয়ই আমাদের সবার জন্য অপমানজনক, সার্বজনীন লজ্জার বিষয়, আজ গোটা বিশ্ব ধিক্কারের মুখে,’ তিনি বলেন।
গাজায় জাতিসঙ্ঘের কার্যক্রমের পরিচালক বব টার্নার বিবিসিকে বলেছেন, এই স্কুল যে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা ইসরাইলিদের জানিয়ে দেবার পরও কয়েকবার সেখানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
টার্নার বলেন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা অফিসাররা স্কুলে যেসব গোলা আঘাত হেনেছে, সেগুলোর অবশিষ্ট টুকরোগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে যে ইসরাইলিরাই হামলা চালিয়েছিল।
জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থিত আবু হোসেন স্কুলে প্রায় ৩,০০০ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে তারা ঘটনাটা তদন্ত করে দেখবে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই মাসের ৮ তারিখে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,৩০ ০জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোকজন। এছাড়া এমন অন্তত সাতটি পরিবার রয়েছে, যাদের সব সদস্য নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের ৫৬জন সৈন্য আর তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন থাই নাগরিক।
আমেরিকার মধ্যস্থতায় এবং মিসরীয় সহায়তায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি।
গাজায় ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠন বলছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাযার চতুর্দিকে অবরোধ তুলে নিতে হবে, যে অবরোধ প্রায় আট বছর ধরে চলছে।
যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কায়রোতে ফিলিস্তিনি নানা পক্ষের বৈঠকের আগ মুহূর্তে ইসরাইলের সাথে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগের কমান্ডার।
একটি বেশ কঠোর বার্তায় মোহাম্মদ দিইফ বলেন, তার যোদ্ধারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।
ইসরাইলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ফিলিস্তিনি সীমান্তে ইসরাইলি অবরোধ তুলে না নেয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে, তিনি বলেন।
সোমবার ঈদের দিন কিছু সময় বিরতি দেবার পর গভীর রাত থেকে পুনরায় ব্যাপক হামলা শুরু হয়ে।

আরো সংবাদ