AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে শখের বসে ‘মাল্টা’র চাষ করে সফল কৃষক ফখরুদ্দিন

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৯ - ২০১৯ | ১০: ৩৮ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বনাথে নিজের চাষকৃত মাল্টা’র বাগানে কৃষক ফখরুদ্দিন। ছবি: নূর উদ্দিন

এমদাদুর রহমান মিলাদ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশায় শখের বসে ‘মাল্টা’র চাষ করে সফল্য দেখিয়েছেন কৃষক ফখরুদ্দিন (৬০)। ইতিমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে। কৃষক ফখরুদ্দিন রামপাশা (কোনাপাড়া) গ্রামের মৃত বাদ উল্লাহর পুত্র। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় রামপাশা গ্রামের পূর্বে খাজাঞ্চী নদীর তীরবর্তী নিজ জায়গায় এ ফলের বাগান করেন ফখরুদ্দিন। অল্প পরিশ্রম ও খরচে আবাদকৃত বারি মাল্টা-১ এর এ বাগানটি লাভজনক হবে বলে আশাবাদী ফখরুদ্দিন। গতকাল সোমবার সরেজমিনে মাল্টা বাগান পরিদর্শনে গেলে ফখরুদ্দিন জানান, প্রায় দেড় বছর পূর্বে কৃষি অফিসের তৎকালীন স্থানীয় মাঠ কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় মাল্টার চাষ করতে আগ্রহী হন তিনি। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে বারি মাল্টা-১ গাছের ৬০টি চারা পান ফখরুদ্দিন এবং কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি ২১ শতক জায়গায় ওই চারাগুলো রোপণ করেন। ফখরুদ্দিন শুধু মাল্টা বাগানই নয়, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২২ শতক জায়গায় হলুদও চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রতিটি মাল্টা গাছে প্রায় দেড় মাস পূর্বে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে বাগানের প্রত্যেকটি গাছে ২০ থেকে ২৫ ফল এসেছে। ফলগুলো হলুদ রং ধারণ করতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে (প্রথম বছর) প্রতিটি গাছ থেকে ৪/৫ কেজি মাল্টা বিক্রয় করা যাবে। তবে পরবর্তী বছর থেকে গাছে আরো বেশি ফলন হবে বলে আশাবাদী ফখরুদ্দিন।
তিনি জানান, শখের বসে এই বাগান করে সফলতা লাভ করায় তিনি খুবই আনন্দিত। তাকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ বাগান পরিদর্শন করে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন লোক তার বাগানটি দেখে ‘মাল্টা’র বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কৃষি অফিসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে মাল্টা চাষ করে বাগানটি আরো সম্প্রসারিত করতে চান ফখরুদ্দিন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বিশ্বনাথ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মাল্টা চাষ প্রদর্শনী করে একজন সত্যিকারের কৃষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ফখরুদ্দিন। শুধু ফখরুদ্দিনকেই নয়, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে উপজেলার অনেক কৃষককেই প্রদর্শনীর জন্য মাল্টা’র চারা প্রদান করা হয়েছিল। কেউ এ ধরনের বাগান করতে চাইলে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি। কৃষক ফখরুদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে ৪ পুত্র ও ৬ কন্যা সন্তানের জনক। তার ২য় ছেলে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে অবস্থান করছেন ও ৪র্থ ছেলে মোটরসাইকেল মেরামতের স্থানীয় একটি দোকানে কর্মচারী এবং ১ম ও ৩য় ছেলেকে নিয়ে তিনি কৃষিকাজ করছেন।

আরো সংবাদ