বিশ্বনাথের কিশোর তাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ১৬ - ২০১৯ | ৩: ০০ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রামে ২০১০ সালে ২ আগস্ট রাত ৯টায় পঞ্চায়েত কমিটির সালিশ বৈঠক হয়। ১৭ বছর বয়সের তাজ উদ্দিনের নকিয়া ১১১০ মডেলের একটি মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালিশি বৈঠকে নুরুল ইসলামকে মোবাইল চোর হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। বৈঠকের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করে স্থগিত করা হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় নুরুল ইসলামের উপর থেকে বিচার তুলে নিতে আসামী গোদাবুল চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় তাজ উদ্দিন বাড়ীর পশ্চিম পাশের জাল দিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় নুরুল ইসলাম পূর্ব বিরোধের জেরে কোমরে থাকা চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাজ উদ্দিনকে মারাত্মক ভাবে জখম করেন। এরপর ওসমানী হাসাপাতালে সে মারা যায়। এ ঘটনায় তাজ উদ্দিনের মা তৈয়রুন নেছা (৪০) বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় বন্ধুয়া গ্রামের আলতাব আলী পুত্র নুরুল ইসলাম (২২), নজরুল ইসলাম (১৮), ফজর আলী (৩৫), মৃত সিকন্দার আলীর পুত্র মোঃ গেদাবুল মিয়া (৪৫), মিরের গাঁও গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র বরই মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মাসুদুর রহমান নুরুল ইসলামকে এক মাত্র আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণশেষে মঙ্গলবার এ মামলার রায় দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনায় ছিলেন এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ও স্টেইট ডিফেন্স ছিলেন ফারজানা হাবিব চৌধুরী।