AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

জানাজার মাইকিংয়ের পর জেগে উঠলেন মৃত ব্যক্তি

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: ডিসেম্বর - ৮ - ২০১৫ | ১২: ৪৭ অপরাহ্ণ

75705_123

নিউজ ডেস্ক :: মৃত ঘোষণা করা হলো। মাইকিং করে জানাজা নামাজের খবর প্রচার হলো। কবর খোড়া শুরু হলো। গোসল দেয়ার জন্য পানি গরম করা হচ্ছে। ঠিক এমন সময় ‘মৃত’ ব্যাক্তিটি নড়ে উঠলেন। বেঁচে আছেন ভেবে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলো। কর্তব্যরত ডাক্তার দেখলেন তিনি এখনো জীবিত। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হান্দুলিয়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, হান্দুলিয়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র ও সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার সরকারের বড় ভাই সামছুল হক (৬২) ঢাকার শমরিতা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানের চিকিৎসকরা আজ সোমবার তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে রিলিজ দেন। কোনো পালস না পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজনরা মারা গেছেন বলে ধারনা করেন। পরে আজ আছরের নামাজের পর জানাজা নামাজ ও দাফনের জন্য মাইকিং করা হয়। সাটুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মসজিদের মাইকেও এ সংবাদ প্রচার করা হয়। কবর বানানো হয়। পানি গরম শেষে গোসল করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। ঠিক এমন সময় নড়ে উঠেন মৃত ঘোষিত সামছুল হক। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিকেল ৫টায় তাকে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অ্যাম্বুলেন্সেই প্রাথমিক চেকআপ করে নিশ্চিত করেন, তিনি জীবিত আছেন। তবে আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার। তার ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার সরকার জানান, গত ১ নভেম্বর তার বড় ভাই সামছুল হক ব্রেন স্ট্রোক করেন। তাকে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে মানিকগঞ্জের বেসরকারি মন্নু হসপিটাল ও মানিকগঞ্জের বিকাশ চন্দ্র তরফদার চিকিৎসা করার পর সুস্থ্ হয়ে উঠেন। হাটা চলাসহ সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠে। গত ৪ নভেম্বর আবার ব্রেন স্ট্রোক করলে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থা অবনতি হলে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সিটি স্ক্যানসহ চিকিৎসার একপর্যায়ে শনিবার তৃতীয়বারের মত ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে রোববার তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। আজ দুপর ১২টার দিকে সমরিতা হাসপাতালের চিকিৎসক বাঁচানো সম্ভব না বলে রিলিজ দেন। সেখান থেকে বাড়ি আনা হয়। বাড়িতে তার সম্পূর্ণ শরীর নিস্তেজ হয়ে যায় এবং কোনো পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইন্তেকাল করেছেন মনে করে জানাজা নামাজ ও দাফনের আয়োজন করা হয়। এদিকে মাইকিং করে মৃত ঘোষণা করার পর বেঁচে আছেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাটুরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উৎসুক জনতা একনজরে দেখার জন্য সন্ধ্যা থেকে সাটুরিয়া স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে থাকেন। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজিব জানান, সামছুল হক জীবিত থাকলেও তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। সোমবার রাত ৯টায় তার পালস ছিল ৪০-৪৫।

আরো সংবাদ