AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

ন্টারনেটে নিরাপত্তায় শিশুদের যে সাতটি শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ২৭ - ২০১৪ | ১: ২২ পূর্বাহ্ণ

Pic00

শিশুদের ইন্টারনেটে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদাসীন থাকে। ফলে তাদের নিরাপত্তার দিকটি উপেক্ষিতই থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিশুরা কোনো অংশেই কম ঝুঁকিতে থাকে না। দিন দিন বাড়ছে শিশু নিগ্রহের মতো ঘটনা, যার একটা বড় অংশ হচ্ছে অনলাইনে। এ ছাড়া রয়েছে পরিচয় চুরিসহ নানা অনলাইন অপরাধের শিকার হওয়ার ঝুঁকি। আর এ ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে শিশুদের কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক বিষয় শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। ইন্টারনেটে শিশুদের জন্য এ ধরনের সাতটি নিরাপত্তামূলক পরামর্শ নিয়েই এ লেখা।
১. ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যাবে না
শিশুদের সহজে বোঝার কথা না যে ব্যক্তিগত তথ্য দিলে তাদের ক্ষতি কী। এ জন্য বড়দেরই তাদের বোঝানোর দায়িত্ব নেওয়া উচিত। অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার অপকারিতা বোঝানোর আগে শিশুদের বোঝাতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য বলতে কী বোঝানো হয়। পরামর্শ দিতে হবে, ইন্টারনেটে কারো সঙ্গে যতই বন্ধুত্ব হোক না কেন, কোনোক্রমেই ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যাবে না।
২. প্রোফাইল রাখতে হবে ‘প্রাইভেট’
অনলাইনে ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট রয়েছে। আর এ সাইটগুলোতে এখন শিশুরাও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এসব অ্যাকাউন্টে শিশুদের প্রোফাইল ‘প্রাইভেট’ হিসেবে রাখতে হবে। এতে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি থেকে মুক্ত রাখা যাবে প্রোফাইল। শিশুরা যদি এ বিষয় ঠিকভাবে বুঝতে না পারে তাহলে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে।
৩. অনলাইনের সব কিছুই উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে
শিশুদের বোঝাতে হবে যে অনলাইনে সত্যিকার গোপনীয়তা বলতে কোনো বিষয় নেই। প্রাইভেট সেটিং দেওয়ার পরেও অনেক বিষয় হঠাৎ করে বহু মানুষের সামনে উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। ব্যক্তিগত কোনো ছবি থেকে শুরু করে বন্ধুর কাছে লেখা মেসেজও এ ধারার বাইরে নেই। তাই অনলাইনে এমন কোনো বিষয় শেয়ার করা উচিত নয়, যা অন্যরা দেখলে বিব্রত হতে পারে।
৪. ব্যবহারকারীর ইতিহাস বের করা সম্ভব
অনলাইনে কোন কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করা হয়েছে কিংবা গুগলে কোন বিষয় নিয়ে সার্চ দেওয়া হয়েছে তার সবই পরবর্তী সময়ে বের করা সম্ভব। এ বিষয়টি শিশুদের জানানো প্রয়োজন যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস কম্পিউটার থেকে মুছে ফেললেও সার্ভারে থেকে যায়। তাই অনলাইনে বিচরণের সময় সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা শিশুদের বোঝানো প্রয়োজন।
৫. অনলাইন কার্যক্রমের জন্যও আইনি ঝামেলা হয়
শিশুরা অনেকেই মনে করতে পারে কম্পিউটারের সামনে বসে কোনো মন্দ কাজ করলে সেটা কারো নজরে পড়বে না। তাই তাদের বোঝানো উচিত, বাস্তব জীবনে অবৈধ কোনো কাজ করলে যেমন আইনগত ঝামেলায় পড়তে হয় তেমনটা অনলাইনেও হয়। অনলাইন বাস্তব জগৎ থেকে ভিন্ন নয়। তবে অনলাইনের রেকর্ড বাস্তব জীবনের চেয়ে বেশি থাকে। এখানে কাউকে গালি দিলেও তা লিপিবদ্ধ থাকে এবং তা থেকে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। তাই অনলাইনে সংযত রাখতে হয় আচরণ।Pic000
৬. সেট করুন অনলাইনের নিয়মকানুন
শিশুদের অনলাইনে বিচরণের ক্ষেত্রে কিছু অলিখিত নিয়মকানুন সেট করতে হতে পারে অভিভাবকদের। এসব বিষয় শিশুর নিরাপত্তার জন্যই প্রয়োজন। কারণ এখন সব কিছু বোঝার আগেই শিশুরা অনলাইনে বিচরণ শুরু করে। তাই এ দায়িত্ব বড়দেরই নিতে হবে। এসব নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে পারে সে যে যে ওয়েবসাইটে গিয়েছে তার ইতিহাস নিয়মিত দেখা। তাদের ই-মেইল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ব্যবহার নিয়মিত পর্যালোচনা করা। এ জন্য শিশুর পাসওয়ার্ডটিও অভিভাবকের জানা থাকতে হবে। শিশুদের জানিয়ে রাখতে হবে, অনলাইনের সব কিছুই তার অভিভাবক নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন।
৭. পোস্ট করার আগে চিন্তা করে নেওয়া
অনলাইনে যেকোনো পোস্ট করার আগে চিন্তা করে নেওয়ার বিষয়টি শিশুকে শেখাতে হবে। পোস্ট করার পরে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। কারণ অনলাইনে কোনো বিষয় পোস্ট করার পরে তা আর গোপন থাকে না। মুছে ফেললেও তা অনলাইনে থেকেই যায়। আর অনলাইনে এ পোস্ট থেকে যদি কোনো ক্ষতিকর বিষয় হয়ে যায় তাহলে তা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যায় না।

আরো সংবাদ